এক সময়ে এরা খুব গরীব ছিলেন
অর্থ-কড়ি ডেস্ক
জন পল দিজোরিয়া: ফেরি করে শ্যাম্পু বেচতেন, এখন বিশ্বখ্যাত হেয়ারকেয়ার পণ্য নির্মাতা কোম্পানির মালিক
পরবর্তী জীবনে দুনিয়ার সেরা ধনী আর বিখ্যাতদের কাতারে হলেও একসময় এরা খুব গরীব ছিলেন। একটা সময়ে তাদের কারও কারও অবস্থা এতটাই কঠিন-করুণ ছিল য়ে দুপুরের খাবারের সংস্থান করাও কঠিন ছিল। তবে প্রাণান্তকর চেষ্টায় মেধার স্ফূরণ ঘটিয়ে তারা পৌঁছেছেন সাফল্যের চূড়ায়। এদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে পরিচিত হই, আসুন
রুশ বিজনেস টাইকুন রোমান আব্রামোভিচ
৯ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদের মালিক আব্রামোভিচ দুই বছর বয়সেই অনাথ হন। চরম গরীবি অবস্থার ওই জীবনে তাকে লালন পালন করেন আপন চাচা। ১৯৮৭ সালে মস্কো অটো ট্রান্সপোর্ট ইন্সটিউটে থাকাকালীন প্লাস্টিকের খেলনা বানানোর একটি ছোট কারখানা খোলেন। পরে তিনি তেল ব্যবসার মহীরুহে পরিণত হন। রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের প্রিয় বন্ধুদের একজন তিনি।
ডো ওয়ান চাং
কোরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ধনকুবের। ক্লোথিং রিটেইল স্টোর ফরএভার২১-এর মালিক ওয়ান চাংয়ের সম্পদের মূল্য ৫.৪ বিলিয়ন ডলার। ১৯৮১ সালে যখন কোরিয়া থেকে ভাগ্যের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রে যান তখন পেট ভরাতে একসঙ্গে তিনটি অড জব করতে হয়েছে তাকে।
শাহিদ খান
দুনিয়ার শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এখন নাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শহীদ খানের। ১৬ বছর বয়সে মোট ৫০০ ডলার পকেটে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ওই সময়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করেই তাকে ছুটতে হতো রেস্টুরেন্টে থালাবাসন মাজার কাজে। সেই গরীব শহিদ খান এভন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা একটি কোম্পানি ফ্লেক্স এন গেট-এর মালিক। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৬.৭ বিলিয়ন ডলার।
জন পল দিজোরিয়া
দশ বছরের কম বয়সে হতদরিদ্র পরিবারের দিন গুজরানে তাকে পত্রিকার হকারি করতে হয়েছে জন পল দিজোরিয়াকে। দ্বারে দ্বারে বেঁচেছেন ক্রিসমাস কার্ড। ফেরি করে শ্যাম্পুও বিক্রি করেছেন। একপর্যায়ে প্যাট্রন টেকভিলা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে চুলের য্ত্ন নেওয়ার খ্যাতনামা পণ্য প্রস্তুতকারী পল মিশেল লাইন এবং প্যাট্রন স্পিরিট-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের কাতারে আসন করে নেন। গ্রিক-ইতালীয় বংশোদ্ভূত এই আমেরিকানের সম্পদের পরিমাণ ৩.১ বিলিয়ন ডলার।
কেন লাঙ্গন
বাবা ছিলেন প্লাম্বার আর মা কাজ করতেন ক্যাফেটারিয়ায়। হালের খ্যাতনামা মার্কিন বিনিয়োগকারী কেন স্কুল জীবনেই রোজগার শুরু করেন। পড়াশোনা চালানোর জন্য একপর্যায়ে তাকে নিজেদের বাড়ি বন্ধকও রাখতে হয়েছে। হালের নাম করা ইনভেস্টর কেনের সম্পদের পরিমাণ ২.৮ বিলিয়ন ডলার সমরিমাণ
মোহাম্মদ আল্ট্রেড
সিরীয় মরুভূমির এক ক্ষুদ্র উপজাতীয় বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আল্ট্রেডের মোট সম্পত্তি এখন ১.১২ বিলিয়ন ডলারের। ফরাসি মান্টপলিয়ার রাগবি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, লেখক হিসেবেও পরিচিত তিনি। হয়েছেন ফ্রান্সের এন্টারপ্রিনার অব দ্য ইয়ার অর্থাৎ বছরের সেরা উদ্যোক্তাও। খুব গরীব ঘরের সন্তান আল্ট্রেড শিশুকালে মাকে হরারন। তাকে লালন-পালন করেন তার দাদী। ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ারও হন।
অপরাহ উইনফ্রে
তার সম্পত্তি ৩.২ বিলিয়ন ডলারের। ১৯ বছর বয়সে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান টিভি সাংবাদিক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। মিসিসিপির খুব গরীব এক পরিবারের সন্তান ছিলেন আজকের দুনিয়াজোরা খ্যাতিমান উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে। তবে গরীবির কর্কশতা মেধাবী উনফ্রেকে দমাতে পারেনি। টেনেসি বিশ্বব্যিালয়ৈ স্কলারশিপ যোগাড় করে ফেলেন। এরপর ক্রমশ সাফল্যের শিখরে চড়ে যেতে আর সমস্যা হয়নি তার।
হাওয়ার্ড শুল্টস
দুনিয়া জুড়ে স্টারবাকসের ১৬,০০০ কফিশপ রয়েছে। তবে হাওয়ার্ড এই কফি কোম্পানিটিকে যখ কেনেন তখন এর দোকান ছিল সাকুল্যে ৬০টি। এই সক্ষমতা অর্জনরে আগে তাকে করতে হছৈ কঠোর সংগ্রাম। গ্র্রাজুয়েশনের পর ফটোকপির মেশিনে ভাগ্য পরীক্ষা করেন। থাকতেন গরীবদের জন্য নির্দিস্ট হাউজিং এলাকায়। ১৯৮৭ সালে স্টারবাক্স কোম্পানির সিইও হন। তার সম্পদের পরিমাণ ২.৯ বিলিয়ন ডলার। এনবিটি, উইকি
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে
- বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ এমপিকে বেঁধে রাখলো গ্রামবাসী!
- তিল রহস্য!
- বিয়ের আসরে কনের সামনেই বরকে চুমু, অতঃপর...
- দক্ষ জনশক্তি: সৌদি বাওয়ানি গ্রুপ-সেনা কল্যাণ সমঝোতা প্রতিস্বাক্ষর
- `মোহাম্মদ` লেখা ভেড়া, ৩ কোটিতেও বেঁচবেন না মালিক!
- যেন `ভূত এফএম`-এর গল্প!
- গরু ৩ কেজির বেশি মল ছাড়লেই মালিককে গাধার পিঠে চড়িয়ে শাস্তি!
- ৫ হাজার ফুট উপর থেকে পড়েও জীবিত!
- প্লেনে পর্নো তারকার সঙ্গে অভিসার, কুয়েতি পাইলট সাসপেন্ড
- চীনের ‘নিজস্ব বিশ্বব্যাংক’ প্রস্তুত, মাথায় হাত যুক্তরাষ্ট্রের!
- এলিফ্যান্ট সিমেন্ট ডিলারদের সঙ্গে এসকেএস কর্মকর্তাদের বৈঠক
- বিশাল সম্পদের সন্ধান মিলল মরুভূমির নিচে!
- ইখওয়ান ধ্বংস করে দেয়া হবে: সিসি
- কনসলের নয়া প্রকল্প উদ্বোধন করলেন মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স
- গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য `প্রোফম`