ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ইরাকের ধূমপানাসক্ত শিম্পাঞ্জিটির আশ্রয় মিলেছে কেনিয়ার অভয়ারণ্যে

পরিবেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ১২:০৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

জন্মের দিনকয়েকের মধ্যেই মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা হয়েছিল শিম্পাঞ্জিটিকে। পরে আফ্রিকা থেকে চোরাইপথে পাচার হয়ে আসে ইরাকে- আশ্রয় হয় কুর্দি শহর দহুকের একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায়।

পরবর্তীতে সেখানে শিম্পাঞ্জিটি বড় হয় খুব এলোমেলো পরিবেশে। তাকে সোডা জাতীয় পানীয়, মিষ্টান্ন এমনকি ধূমপানে অভ্যস্ত করে তোলা হয়। মান্নো নামের এই শিম্পাঞ্জি শিশুটিকে পড়িয়ে রাখা হতো মানুষের বাচ্চার মতো জবরজং পোশাক-আশাকও।

চিড়িয়াখানা দেখতে আসা আমুদে মেহমানরা তার হাতে ধরিয়ে দিতো সিগারেট। এমন সব উল্টা-পাল্টা খাবার আর পানীয়ের প্রভাবে ডায়রিয়া-আমাশয় তার লেগেই থাকতো। কিন্তু পশুকে বন্দি করে রেখে আমোদ করনেওয়ালা লোকজনের সেদিকে নজর দেওয়ার সময় ছিল না নিশ্চিত। তাই- চলছিল এভাবেই।

দিনশেষে হৈ-হুল্লোড়ে অতিথিরা যাওয়ার পর রাতে তাকে বন্ধ করে রাখা হতো ছোট্ট এক লোহার খাঁচায়।

তবে শেষ পর্যন্ত হৃদয়বান সচেতন মানুষদের গোচরে আসে বিষয়টি। পশু অধিকারকর্মীদের চেষ্টায় মেষমেষ গত সপ্তাহে মান্নোকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে কেনিয়ার এক শিম্পাঞ্জি অভয়ারণ্যে।

মাউন্ট কেনিয়ার পাদদেশে অবস্থিত পেজেটা কনজার্ভেন্সি নামের ওই অভয়ারণ্য ১৯৯৩ সাল থেকে বিপদাপন্ন শিম্পাঞ্জিদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
বর্তমানে সেখানে মান্নো ছাড়া আরও ৩৬টি শিম্পাঞ্জি রয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/একে

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত