ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ইন্দেনেশিয়ায় কঠোর আইন: ধর্ষককে করা হবে নপুংসক, আছে মৃত্যুদণ্ডও

নারীস্থান ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১৮ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ১৯:৪৯, ২০ অক্টোবর ২০১৬

নারী ও শিশু ধর্ষণসহ যৌন নিপীড়ন, শোষণ বা হয়রানির ৯০% ঘটনাই থানা-পুলিশে রিপোর্ট হয় না দেশটিতে। তবে মাস পাঁচেক আগে এক দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুরো ইন্দোনেশিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এরই জের ধরে এবার দেশটিতে নারী ধর্ষণ বিশেষ করে শিশু যৌন নিপীড়ণবিরোধী কঠোর-কঠিনতম আইন পাস হয়েছে।

নয়া এই আইন অনুযায়ী দোষীকে নপুংসক করে দেওয়া থেকে মৃত্যুদণ্ডের মতো চূড়ান্ত শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। এমনকি শাস্তিস্বরূপ দোষীদের শরীরে নারী হর্মোনও প্রয়োগ করা হবে যার ফলে তাদের আচার-আচরণ ক্রমশ নারীদের মতো হয়ে যাবে। আর যদি জেলদণ্ড হয় তবে তা হবে কমপক্ষে দশ বছরের জন্য।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ঘটা নির্ভয়া গণধর্ষণের মতোই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় পাঁচ মাস আগে। ওই ঘটনায় ১৪ বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ নির্যাতন ও ধর্ষণ করে ১২ ব্যক্তি। পরে ঘটনার শিকার সুমাত্রার ওই স্কুল ছাত্রী মেয়েটিকে হত্যাও করে নরপশুরা। 

এ ঘটনায় পুরো দেশ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন তখন। সেই প্রতিশ্রুতির সূত্রেই কঠিনতর এই আইনটি এসেছে।

প্রেসিডেন্ট জোকো নিজে তার দেশের সংসদে এর প্রস্তাব পেশ করেন। সম্প্রতি প্রস্তাবটি নিয়ে তুমুল বিতর্কের পর দুটি দল এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। তবে শেষপর্যন্ত প্রস্তাবটি পাস হয়।

এই আইনের ফলে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে উল্লিখিত শাস্তি ছাড়াও শরীরে ইলেক্ট্রনিক চিপ স্থাপনের বিধানও রাখা হয়েছে। এতে শাস্তিকালীন তাদের গতিবিধি মনিটর করা হবে। এছাড়া এই চিপ সাজা পূর্ণ হওয়ার পরেও অপরাধীর শরীরে সংযুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন ইন্দোনেশিয়ায় ধর্ষককে নপুংসককরণ আইনে চিকিৎসকদের বিরোধিতা, কেন?

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইন্দেনেশিয়ার উইমেন কমিশন এই আইনের বিরোধীতা করেছে। তবে এই বিরোধীতার বিরোধীতা করে দেশটির এক নারী মন্ত্রী ডা. জোহানা সুজানা বলেন, এর ফলে অপরাধীরা এমন ঘৃণিত অপকর্মে ভয় পাবে। এমন শাস্তির ব্যবস্থাকে আপনি অপছন্দ করতে পারেন- তবে জনসাধারণের সবাই কিন্তু এর সমর্থন করছে।

ধর্ষককে নপুংসক করে দেওয়ার আইন রাশিয়া, পোল্যান্ড দক্ষিণ কোরিয়ায়ও আছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যেও রয়েছে একই ধারার আইন। সউদি আরবেও ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

 

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত